কি বন্ধুরা, শিরোনাম শুনে অবাক হচ্ছো? ভাবছ, রাস্তা আবার নদী হয় কীভাবে? সেকথা তুমি বুঝতে পারবে লম্বার্ড স্ট্রিট নামক রাস্তাটি দেখলে। দূর থেকে দেখলে যে কেউ হঠাৎ ভাববে, রাস্তা তো নয়, নদী একটা! আর রাস্তার পাশের বিল্ডিংগুলো বাদ দিয়ে যদি কেউ দেখো তাহলে আরও বেশি বিভ্রান্ত হবে।
কেউ কেউ আবার ভাবতে পারো এটা বুঝি গাছ-ফুলের নদী! কারণ এর দু’পাশজুড়ে রয়েছে সবুজ গাছ আর ফুলের সমারোহ।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার কথা জানো তো? ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিস্কো এলাকার পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থিত এই লম্বার্ড স্ট্রিট। রাস্তাটি খাঁড়া এবং এই রাস্তায় আটটি চুলের কাঁটার মতো তীক্ষ্ণ বাঁক রয়েছে।
মূলত এটাই রাস্তাটিকে এতটা বিখ্যাত করেছে। এই বাঁকগুলো রাস্তাটির মূল দৈর্ঘ্যকে প্রায় ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে!
সান ফ্রান্সিস্কোর সার্ভেয়ার জ্যাসপার ও ফ্যারেল ফিলাডেলফিয়ার লম্বার্ড স্ট্রিটের এই নামকরণ করেন।
লম্বার্ড স্ট্রিট নদীর মতোই দেখতে। তবে তার রং নদীর জলের মতো স্বচ্ছ নয়। একটু কালচে। এর দু’পাশে মাঠ-ঘাট বা ফুলবাগান চোখে পড়ে। লম্বার্ড স্ট্রিটের দু’ধারে রঙিন সব ফুলবাগানও যে কারো নজর কাড়বে খুব সহজেই। ফুলবাগানগুলো রাস্তাটার আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে হাজার গুণ।
কেবল কার বা বিমান থেকে, অর্থাৎ উপর থেকে দেখলে লম্বার্ড স্ট্রিটের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। আর উঁচু থেকে দেখলেই রাস্তাটিকে পুরোপুরি নদীর মতো দেখায়।
এর কঠিন ও ভয়ংকর বাঁক, পাশে বাগান- সব মিলে অপূর্ব লম্বার্ড স্ট্রিটে চিত্রায়ণ হয়েছে বিভিন্ন চলচ্চিত্রের অংশও।
লম্বার্ড স্ট্রিটের ভয়ংকর সৌন্দর্যের হাতছানিতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক আসেন নিজের চোখে রাস্তাটি পরিদর্শন করতে। আর লম্বার্ড স্ট্রিটও তার মোহনীয় রূপে আকৃষ্ট করে সফল করে সেই পর্যটকদের আগমনকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৩
এএ/এডিবি[email protected]