‘একটি করে দিলে বই,
পড়তে পাবে শত বই।
তোমার আমার সবার,
গিট্টু ক্লাবের পাঠাগার।
গিট্টু দা ব্যাখ্যা করেন, আমাদের পাঠাগারের সদস্য হওয়ার জন্য কোনো টাকা নেবো না। একটি করে বই দিলেই সদস্য হওয়া যাবে। প্রথমে যদি আমরা দুশো সদস্যও সংগ্রহ করতে পারি, তাহলেও তো দুশো বই হয়ে যাবে। এই বই দিয়েই আমরা পাঠাগার শুরু করতে পারবো।
সবাই হাততালি দেয়। ঠিক বলেছো গিট্টু দা। এই স্লোগান আর পরিকল্পনায় পাঠাগার দাঁড়িয়ে যাবে।
বিস্তর আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, আসছে গিট্টু কিশোর ক্লাব পাঠাগার...’ এই শিরোনামের সঙ্গে সবার স্লোগান লিখে গোটা এলাকায় পোস্টারিং করা হবে। এরপর এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ তরুণ ও যুবকদের তালিকা করে তাদের কাছে পাঠাগারের তথ্য পৌঁছে দেওয়া হবে। যারা পাঠাগারের সদস্য হতে চায়, তাদের তালিকা করা হবে। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বই জমা দিয়ে সদস্য কার্ড নেবে সদস্যরা।
এলাকায় মাইকিং করা হলো। শুরু হয়ে গেলো সদস্য তালিকাভুক্তি। গিট্টু ক্লাবের সদস্যরা গোটা এলাকায় ঘুরে ঘুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, তরুণ, যুবকসহ আগ্রহী সব বয়সের মানুষের নাম নিবন্ধন করতে শুরু করলো। দশদিনের মধ্যেই দুশো আটাশ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হলো। তালিকাভুক্তদের কেউ কেউ দুটো, তিনটা বই দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিলেন।
নির্ধারিত দিন গিট্টু কিশোর ক্লাবের সামনে পাঠাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিলেন। অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তি ও পাঠাগারের নিবন্ধিত সদস্যরাও উপস্থিত হলেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখলেন গিট্টু কিশোর ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গোলাম আলী ওরফে গিট্টু দা। বক্তব্যে সম্মানিত অতিথি ও সদস্যদের শুভেচ্ছা অভিনন্দন জ্ঞাপন করে গিট্টু দা পাঠাগারের মাহাত্ম্য তুলে ধরলেন। এরপর তিনি বললেন, এলাকায় একটি পাঠাগারের অভাব অনুভব করায় গিট্টু কিশোর ক্লাব এ পাঠাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। আর আপনারা জেনেছেন, আমরা সদস্য হওয়ার জন্য কোনো টাকা নিচ্ছি না।
চলবে....
আরও পড়ুন:
***গিট্টু ক্লাবের পাঠাগার | মিলন রহমান
****গিট্টু ক্লাবের পাঠাগার (পর্ব-২) | মিলন রহমান
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৭
এএ