ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফিকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ নভেম্বর তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজানুর ইসলাম। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর সারওয়ার্দীকে সাভার থেকে গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
এ মামলায় গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মিয়া আরেফি আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। আটকের পর তাকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, আরেফির পুরো নাম মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি। তার ডাক নাম বেল্লাল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে থাকেন। তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করলেও তিনি মাঝে মধ্যে দেশে আসেন।
গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় মিয়া আরেফি নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে নিজেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তার পাশে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দেখা গেছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের নামে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন বাদী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশের সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনাসহ মিয়া আরেফির সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়। মামলায় মিয়া আরেফি ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৩
কেআই/আরবি