ঢাকা: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কুমিল্লা-৬ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) করা এক লাখ টাকা জরিমানা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
৭ জানুয়ারি নির্বাচিত এ সংসদ সদস্যের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, কুমিল্লার বিভাগীয় কমিশনারসহ (রিটার্নিং কর্মকর্তা) বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে বাহাউদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গে বাহারের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না তার ব্যাখ্যা তলব করেছিল কমিশন।
নির্বাচনের আগে গত ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে ওই জরিমানার রায় দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ওইদিন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
সিইসির সঙ্গে শুনানিতে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান।
অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ জমা দিয়ে তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে তাদের জানাতে হবে। পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি ইসিকে অবহিত করবেন। পরবর্তীতে এ সংসদ সদস্য টাকা জমা দেন।
তবে তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা জানান, আমরা এক লাখ টাকা জমা দিয়েছি। এখন সংসদ সদস্য হয়ে আসলাম। ওই জরিমানার আদেশ চ্যালেঞ্জ করেছি। কারণ যে ধারার কথা বলা হয়েছে সেখানে জরিমানার বিধান নেই। শুধু শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। তাই ওই টাকা ফেরত দিতে নির্দেশনা চেয়ে ১৮ জানুয়ারি রিট করা হয়। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২৪
ইএস/আরআইএস