ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিট কর্মকর্তাকে হত্যা: ১৫ জনের নামে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
বিট কর্মকর্তাকে হত্যা: ১৫ জনের নামে মামলা মো. সাজ্জাদুজ্জামান

কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় সংরক্ষিত বনের পাহাড় কেটে ‘মাটি পাচারকারীদের ড্রাম্প ট্রাকের চাপায়’ বনবিট কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় ১০ জনের নামোল্লেখ করে ১৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন জানান, রোববার (৩১ মার্চ) রাত ১২টার পর বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে ও ডাম্পার ট্রাকটির চালক মো. বাপ্পী (২৩), একই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ (৪০) ও তার ছেলে মো. তারেক (২০), রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার নুরুল আলম মাইজ্জার ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৭), হরিণমারা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে ছৈয়দ করিম (৩৫), একই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (৩৫), আব্দুর রহিমের ছেলে শাহ আলম (৩৫), হিজলিয়া এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (৫০), একই এলাকার ফরিদ আলম ওরফে ফরিদ ড্রাইভারের ছেলে মো. রুবেল (২৪) এবং হরিণমারা এলাকার শাহ আলমের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার (৩৯)।  

এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে, এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিম (৩৫)।

রোববার ভোরে সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল বনদস্যু। খবরে পেয়ে বনবিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানসহ কয়েকজন বনকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনিসহ মোটরসাইকেল আরোহী দুইজনকে পাচারকারীদের মাটিভর্তি ডাম্প ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাজ্জাদুজ্জামানের মৃত্যু হয় এবং মোহাম্মদ আলী নামের এক বনরক্ষী আহত হন।

নিহত মো. সাজ্জাদুজ্জামান (৩০) কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বনবিটের বিট কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জের গজরিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী (২৭) টেকনাফের হ্নীলার ঝিমংখালী এলাকার আবুল মঞ্জুরের ছেলে।

ওসি শামীম হোসেন বলেন, রোববার রাতে বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১০ জনের নামোল্লেখসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে সোমবার (১ এপ্রিল) ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিমকে গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৪
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।