ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ে বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ৬, ২০২৪
টাঙ্গাইল শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ে বাংলাদেশ

ঢাকা: টাঙ্গাইল শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে ল’ ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

উচ্চ আদালতে এ তথ্য জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

একইসঙ্গে জিআই পণ্যে ও জিআই যোগ্য পণ্যের তালিকা দাখিল করা হয়েছে।

সোমবার (০৬ মে) এ তথ্য উপস্থাপন করার পর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি করেন। একইসঙ্গে প্রতিবেদনটি হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। তার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে আদেশ দেন।

আদেশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে রেজিস্ট্রেশন যোগ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের তালিকা করতে নিদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জিআই পণ্যে হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা পণ্যের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

রুলে জিআই পণ্যের তালিকা তৈরি ও রেজিস্ট্রেশনে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত। বাণিজ্য সচিব, কৃষি সচিব, সংস্কৃতি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা জানান, টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের জিআই পণ্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু সেই পণ্যটিকে ভারত তাদের পণ্য হিসেবে রেজিস্ট্রি করে প্রকাশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে একটি রিট করেছি। ওই রিটে রুল জারি করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের পর সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক তথ্য পেয়েছি। সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি তালিকা পেশ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে নিয়ে শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা ক্রমবর্ধমান হারে চলবে। আর জিআই যোগ্য পণ্যের তালিকাও দাখিল করা হয়েছে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক নথির ভাষ্যমতে, টাঙ্গাইল শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব রক্ষার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে ল’ ফার্ম ম্যাসন অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রয়োজন মনে করলে নেগোসিয়েশন করে অন্য ফার্মকে নিয়োগ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
ইএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।