ঢাকা: সিলেটে পাহাড়–টিলা কাটা রোধে সার্বক্ষণিক তদারকি ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১৫ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনের মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপপরিচালকসহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে ছয় মাস পরপর আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে। এছাড়া পাহাড়–টিলা কাটা বন্ধে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১১ মার্চ ‘সিলেটে টিলা কাটা চলছেই, আড়াই দশকে সাবাড় ৩০ শতাংশ’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন এ রিট করেন।
রুলে সিলেটে দেশের পাহাড়–টিলা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
পাহাড় কাটা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটে টিলা কাটা চলছেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন টিলা যেমন কাটা হচ্ছে, তেমনি খাস বা বন বিভাগের মালিকানাধীন টিলাও কাটা হচ্ছে। টিলা কাটায় পিছিয়ে নেই সরকারি সংস্থাও। কী পরিমাণ টিলা সিলেটে ছিল, এর সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান কোথাও নেই। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের চার জেলায় বর্তমানে ১ হাজার ৮৭৫টি টিলা আছে। এসব টিলার আয়তন ৪ হাজার ৮১১ একর। এর বাইরে আড়াই দশকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ টিলা কেটে ফেলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৪
ইএস/এমজে