ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে ৬ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪
বাগেরহাটে ৬ জনের ফাঁসি, ৭ জনের যাবজ্জীবন ছবি: প্রতীকী

বাগেরহাট: সুন্দরবনে দুই কোস্টগার্ড ও এক র‌্যাব সদস্যকে হত্যার দায়ে সহোদরসহ ৬ জনকে ফাঁসি ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এস এম সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।



রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত ৭ আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই মামালায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন-বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার গামগাছিয়া এলাকার মৃত লুতফর শেখের ছেলে রফিকুল শেষ, ফজলু শেখের ছেলে কুদ্দুস শেখ ও ইদ্রিস শেখ, সুলতাল শেখের ছেলে বাবুল শেখ, এই উপজেলার খালকুলিয়া এলাকার তাহের ফকিরের ছেলে আলতাফ ফকির ও আব্দুল বারেক শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-একই উপজেলার গাবগাছিয়া এলাকার হাফেজ উদ্দিন শেখের ছেলে রিয়াজুল শেখ, ফজলু শেখের ছেলে আকরাম শেখ, হোসেন শেখের ছেলে আলম শেখ, মৃত ইসতাজ আলী শেখের ছেলে বাদশা শেখ, দেলোয়ার শেখের ছেলে জামাল শেখ ও কামাল ওরফে সুমন শেখ এবং খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হাগলা ডাঙ্গা এলাকার আসলাম শেখ।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি আসলাম শেখ ও সামছু শেখকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। তাদের বাড়ি খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার হাগলা ডাঙ্গা গ্রামে।

রায় ঘোষনার সময় মামলার ১৫ আসমির মধ্যে খালাসপ্রাপ্তরা ছাড়া সবাই পলাতক ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১ ডিসেম্বর সুন্দরবনের পশুর নদীর একটি খালে দস্যুরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর পেয়ে রাত দেড়টার দিকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও কোস্টগার্ড যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়।

ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৬ এর তৎকালীন অধিনায়ক মেহেদি হাসান ও কোস্টগার্ডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিদ্দিক। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। একপর্যায়ে দস্যুরা র‌্যাব ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়ে।

তাতে র‌্যাব-৬ এর তৎকালীন পিসি মো. কাঞ্চন (৪৮) এবং কোস্টগার্ড সদস্য এম এইস কবির ও এম এ ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ওই এলাকা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ এর তৎকালীন ডিএডি মো. মোহাসিন আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মংলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর আসামি বাদশা ও জামাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর পর ২০০৭ সালের ৮ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মংলা থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাসির উদ্দিন আদালতে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।

১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।