ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর কারাগারে, হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর কারাগারে, হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ

ঢাকা: ‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকার মো. শিপন।

 

গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশের পর এসেছে উচ্চ আদালতের নজরে।

এরপর শিপনকে আগামী ০৮ নভেম্বর হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তলব করেছেন তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথিও।

 

রোববার (৩০ অক্টোবর) স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এমন আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।  

হাইকোর্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে পুরান ঢাকার সুত্রাপুরের দুই মহল্লার মধ্যে মারামারিতে একজন খুন হন। এ ঘটনায় মো. জাবেদ বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটির দুই নম্বর আসামি মো. শিপন। এজাহারে তার বাবার নাম ছিলো অজ্ঞাত। পরে চার্জশিটের সময় তার বাবার নাম মো. রফিক দেওয়া হয়। ঠিকানা ৫৯, গোয়ালঘটা লেন, সূত্রাপুর বলে উল্লেখ করা হয়।

২০০০ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের ০৭ নভেম্বর থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ তে আছেন শিপন।

ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতে বিচারাধীন মামলাটিতে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে মাত্র দু’জনের। আগামী ১১ নভেম্বর তার হাজিরার তারিখ রয়েছে। এ অবস্থায় একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে শিপনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে।

কুমার দেবুল দে বাংলানিউজকে জানান, প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর কিছু আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ‘বিনা বিচারে’ ১৭ বছর ধরে আটক শিপনকে আগামী ০৮ নভেম্বর হাইকোর্টে হাজির করতে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সময়ে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রূল জারি করেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘১৭ বছর ধরে বিচার শেষ না হলে কী হবে? আমরা কিন্তু পরে আসামিকে ক্ষতিপূরণের আদেশ দেবো’।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।