সোমবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তবে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান নেটাস টেলিকমিউনিকেশনসকে ১০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতে বিটিসিএলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। টেশিসের পক্ষে ছিলেন কামাল উল আলম। সঙ্গে ছিলেন বিটিসিএলের আইন উপদেষ্টা কাজী মাঈনুল হাসান।
নেটাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও মাহফুজুর রহমান।
কাজী মাঈনুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, বিটিসিএল টেলিফোন শিল্প সংস্থার (টেশিস) সঙ্গে চুক্তি করে যে কার্যাদেশ দিয়েছিল, আপিল বিভাগ সেটি বহাল রেখেছেন। তার আগে বিটিসিএল যে দরপত্র বাতিল করেছিল, সেটিও বহাল রেখেছেন আদালত। তবে আপিল বিভাগ বিটিসিএলের দরপত্র পাওয়া প্রতিষ্ঠান নেটাসকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হতে ঢাকা থেকে কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন জায়গার মধ্যে উচ্চ ক্ষমতার (১০০ জিবি) সঞ্চালন যন্ত্রপাতি স্থাপনে জন্য গত বছরের ২৭ এপ্রিল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবান করে বিটিসিএল।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর দর প্রস্তাবে অংশ নেওয়ার পর নেটাস টেলিকমিউনিকেশনস তাদের কার্যাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করে প্রস্তাব পাঠায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি।
কিন্তু গত বছরের ০১ নভেম্বর বিটিসিএলের পরিচালনা পর্ষদ নেটাসকে দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়। পরে ১৫ নভেম্বর টেশিসের সঙ্গে চুক্তি করে বিটিসিএল।
ওই চুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এরপর হাইকোর্টে রিট করে নেটাস। হাইকোর্ট গত বছরের ১২ ডিসেম্বর টেশিসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে নুতন দরপত্র আহবানের নির্দেশ দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে বিটিসিএল, নেটাস ও টেশিস আপিল বিভাগে আবেদন করে। তবে নেটাস নতুন করে আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকার নির্দেশনার বিরুদ্ধে আবেদন করে।
এসব আবেদনের নিষ্পত্তি করে রায় দেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর