গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লিগ্যাল এইড কমিটির করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেল, ফৌজদারি, দেওয়ানি ও লিভ টু আপিল এবং দেওয়ানি ও ফৌজদারি রিভিশনসহ রিট পিটিশন নিয়ে ২০১৬ সালের আবেদন পড়েছে ৫০০টি।
এর মধ্যে ৪৩৭ মামলাটি পরিচালনার জন্য গ্রহণ করেন লিগ্যাল এইড কমিটি। সেগুলোর মধ্যে ২১৯টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে।
এছাড়া ২০১৬ সালে ৭০৪ জনকে মৌখিক পরামর্শ দিয়েছেন লিগ্যাল এইড কমিটি। এর মধ্যে ৪৬৭ জন পুরুষ এবং ২৩৭ জন নারী রয়েছেন।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে অসহায় দরিদ্ররা বিনামূল্যে মামলা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল যে, উচ্চ আদালতে অনেক বেশি টাকা ছাড়া মামলা করার সুযোগ নেই। সে ধারণা পাল্টে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম ।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট রিপন পৌল স্কু জানান, ‘আমরা কাউকে ফিরিয়ে দেই না। কমিটি অনুমোদন দিলে কারো কারো মামলা গ্রহণ করি। আবার অনুমোদন না দিলে তাকে মৌখিক পরামর্শ দেই’।
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য হাইকোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আগামীতে আরো বেশি সেবা দিতে পারবেন।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যালয়টির উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর আগেই গঠন করা হয় সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম এ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম তার স্থলাভিষিক্ত হন। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীসহ ১১ জন সদস্য। এর মধ্যে চেয়ারম্যানসহ ১০ জন নিয়ে মূল লিগ্যাল এইড কমিটি। বাকি দু’জন পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত রয়েছেন।
এ কমিটির মাধ্যমে বার্ষিক আয় দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়, এমন ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সেবা দেওয়া হয়। পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- ফৌজদারি আপিল ও রিভিশন, দেওয়ানি আপিল ও রিভিশন, জেল আপিল, রিট পিটিশন ও লিভ-টু- আপিল।
সুপ্রিম কোর্টে আইনি সেবা দিতে লিগ্যাল এইড অফিস হাইকোর্ট বিভাগে ৭০ জন ও আপিল বিভাগে ৬ জন আইনজীবী মামলা পরিচালনা করছেন।
দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এ সংস্থার অধীনে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর