জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দুই বছর পূর্তিতেও এ তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
২০১৬ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মামলার পরিসংখ্যানমূলক এ প্রতিবেদন তৈরি করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গত বছরে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৩টি মামলা। বর্তমানে ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭৮টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আপিল বিভাগে ১৩ হাজার ৬৭২টি, হাইকোর্টে চার লাখ ২৪ হাজার ৯৯৪টি, জেলা ও সকল প্রকার ট্রাইব্যুনালে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৬টি এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আট লাখ ৬৫ হাজার ৫৩৬টি মামলা।
অন্যদিকে প্রধান বিচারপতির বাণীতে বলা হয়, ‘পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দু’বছরে দেশের সকল আদালতে ২৭ লাখ ৬০ হাজার ২৪০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। একই সময় ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে দেশের সকল আদালতে মামলা নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৮টি। এ দুই বছরে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪০২টি। ফলে নিষ্পত্তির হার প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে’।
বাণীতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, মামলার জট। মামলা বৃদ্ধির একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো, প্রচলিত আইনের অস্বচ্ছতা। ত্রুটিপূর্ণ ও সেকেলে আইনের ফলে মামলার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশের নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত মামলার ভারে জর্জরিত। গত দুই বছরে মামলার নিষ্পত্তি বৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক’।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) সাব্বির ফয়েজ বলেন, ‘২০১৫ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতি দেশের বিভিন্ন আদালত পরিদর্শন করেন। তার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ অন্যতম। এ সময় তিনি জুডিসিয়াল কনফারেন্সে যোগদান করে মামলা নিষ্পত্তিতে মূল্যবান নির্দেশনা দিয়েছেন’।
‘এছাড়াও জুডিসিয়াল কনফারেন্স এবং পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স নিয়মিত অনুষ্ঠানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সার্কুলার জারি করেছেন। এমনকি প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং সুপ্রিম কোর্টের নিরবচ্ছিন্ন মনিটরিং ও প্র্যাকটিস ডিরেকশন ইস্যুর ফলে বিচারকদের মধ্যে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির হার বেড়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ইএস/এএসআর