এক শ্রমিকের করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন কেন বেআইনি হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, প্রধান কারখানা পরিদর্শক, শ্রম বিভাগের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটটি করেন রাজশাহীর পবা উপজেলা লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন মোল্লা।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সুহান খান ও জহিরুল ইসলাম।
পরে সুহান খান জানান, শ্রম আইনের ৭৪ ধারায় রয়েছে -নির্ধারিত ওজনের বাইরে শ্রমিকদের দিয়ে ভার বহন করা যাবে না। আর বিধিতে রয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ৫০ কেজি এবং নারী শ্রমিকের ৩০ কেজি ওজনের বেশি ভার বহন করা যাবে না।
কিন্তু কোল্ড স্টোরেজগুলো ১১০ থেকে ১২০ কেজি ওজনের মতো ভার বহন করাতে বাধ্য করে। এ কারণে গত বছরের মার্চে রাজশাহীতে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজন শ্রমিক মারা যান।
গত ০৯ জানুয়ারি হিমাগারের ৫০ কেজি ওজনের আলুর বস্তা বহনে শ্রমিকদের বাধ্য করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে শ্রমিকদের শরীর ও জীবনের নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিতে শ্রম মন্ত্রণালয়, শ্রম পরিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করে রাজশাহীর পবা উপজেলা লোড-আনলোড কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন শ্রমিকরা।
ব্যারিস্টার সুহান বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি গত ০৯ জানুয়ারি শ্রমিক ইউনিয়নের করা আবেদনের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে হবে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আদালত ০৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ইএস/এএসআর