পদোন্নতি বঞ্চিত সাত প্রভাষকের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
রুলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৫:২ অনুপাত নীতিমালা অনুসরণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে হুমায়ন কবির বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল বিধিমালায় বেসরকারি কলেজে নিয়োগপ্রাপ্ত সকল প্রভাষকের ৮ বছর পর সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা রয়েছে।
কিন্তু ২০১০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারি করা হয়। যাতে বলা হয়, ‘এমপিওভূক্ত প্রভাষকরা প্রভাষক পদে এমপিওভূক্তির ৮ (আট) বছর পূর্তিতে ৫:২ অনুপাতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এতে মোট পদ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না’- যা মূল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পরিপত্রের এ অংশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বগুড়ার দরগাহাট ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বঞ্চিত মতিয়ার রহমানসহ ৭ জন প্রভাষক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
ইএস/এএসআর