ওইদিন আদালতে হাজির না হলে তার জামিন বাতিল করা হবে বলেও জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হাসান মোল্লার আদালতে মামলাগুলোর শুনানি হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু’র সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক থাকায় তার পক্ষে সময়ের আবেদন জানান অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৪ মার্চ খালেদা হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। অন্যথায় তার জামিন বাতিল করা হবে বলে জানান।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮ মামলা, যাত্রাবাড়ী থানার ২ মামলা ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।
একই বছরের ২৩ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহার করতে উকিল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
তারই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এমআই/এএসআর