এ আবেদনের ওপর মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলো সাভারে সরাতে আরও তিন মাস সময় বাড়ানো হয়েছে, এমন খবর যুক্ত করে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) একটি আবেদন করে। এতে সাভারে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি কারখানাগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগবিচ্ছিন্ন করার জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আদালত এ বিষয়ে জানতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন কর্মকর্তাকে তলব করেন। পরে কর্মকর্তা এসে হাইকোর্টে এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।
এরপর ০৬ মার্চ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারি বন্ধের আদেশ দেন।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদারের চেয়ারম্যান।
আপিল বিভাগের শুনানিতে ফজলে নূর তাপস বলেন, এখনও আমাদের ক্ষতিপূরণের সব টাকা দেওয়া হয়নি। এখানে অনেক মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। অন্তত জুন মাস পর্যন্ত সময় দেন।
১২ মার্চ রোববার ট্যানারি মালিকদের করা আবেদন খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
এরপর তারা হাইকোর্টের ৬ মার্চের আদেশ মডিফিকেশন চেয়ে আবেদন করেন। যাতে ঈদ-উল আযহা পর্যন্ত হাজারীবাগে থাকার সুযোগ চান।
৬ মার্চ রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, সর্বশেষ ২০১০ সালের অক্টোবরে ছয় মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে অনুসারে ২০১১ সালে ৩০ এপ্রিলের পর হাজারীবাগে ট্যানারি চালানোর অনুমোদন নেই। এরপরও সরকার চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময় দেন। এ সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ কারণে জানুয়ারিতে আদালতে আবেদন করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৭
ইএস/জেডএস