এ বিষয়ে বিচারিক আদালতের অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন ও রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৬ এপ্রিল) এ রায় দেন।
আদালতে পলিনের পরিবারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন মারা যায়। ওই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।
ঘটনার ৮ দিন পর পলিনের বাবা মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে ময়মনসিংহের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৩ সালের ২২ মে দাখিল করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্যাডেট কলেজের মিল্ক ব্রেকের সময় শার্মিলা শাহরিন পলিনের হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ হিসেবে প্রচারের সঙ্গে জড়িত ওই কলেজের অ্যাডজুট্যান্ট মেজর নাজমুল হক, এনসিও সার্জেন্ট নওশেরুজ্জামান, সিকিউরিটি গার্ড হেনা বেগম, মেজর মুনির আহাম্মদ চৌধুরী এবং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/২০২/২০৩/৩৪ ধারার অধীনে অপরাধের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
গত বছরের ০৩ মার্চ ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ মো. আমিরউদ্দিনের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন।
এ অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ এবং মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসামিপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।
গত ২২ মার্চ ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ০৬ এপ্রিল রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর