এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন।
রুলে নতুন গেজেটে পুনরায় তফসিল ঘোষণা না করে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী ১৬ এপ্রিল ওই ১৪ ইউপির ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারিত রয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবীরা জানান, ওই ১৪টি ইউপিতে গত বছরের ০৪ জুন ভোটগ্রহণের কথা ছিল। ওই নির্বাচনের আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগ ওঠার পর ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
স্থগিত হওয়া নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য গত ০৮ মার্চ চিঠি ইস্যু করে নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে ভোটগ্রহণের জন্য ১৬ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়- যে অবস্থায় নির্বাচন স্থগিত হয়েছিল, সে অবস্থা থেকেই আবার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হবে।
আদেশের পরে মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাঁশখালীর ১৪ ইউপিতে গত বছরের জুনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। আগামী ১৬ এপ্রিল পুনরায় ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। অথচ প্রতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। তাই চলতি বছরের হালনাগাদকৃত ভোটার তালিকায় যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তারা ১৬ এপ্রিলের ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।
এ কারণে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাঁশখালীর সরলা ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী জাফর আহমেদ গত ০৪ মার্চ রিট করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর