পরে জামিনে গিয়ে পলাতক আবুল বাশার পটুয়াখালী জেলার মরিচবুনিয়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক হোসেনের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
আবুল বাশারের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩১ মে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা এলাকার শিক্ষক আবুল হোসেন সিকদার মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী শিক্ষক আবুল হোসেন সিকদারের বোন হেনারা বেগমের সঙ্গে বরিশাল নগরের জিয়া সড়কের মালেক হাওলাদারের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো। এর জেরে তদন্তের নামে ২০১৪ সালের ২৭ মে সকালে আবুল বাশার বাদীর বসত বাড়িতে যান। এ সময় সাদা কাগজে বাদী ও তার ভাইয়ের স্বাক্ষর নেন আবুল বাশার। তিনি নিজেকে র্যাব সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে ৩১ মে আবার আসার কথা বলে যান।
একই বছরের ৩১ মে আবুল বাশার ফের ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে নিয়ে বসেন। এ সময় স্থানীয়দের সামনে আবুল বাশার নিজেকে র্যাব সদস্য পরিচয় দিলে তাদের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা র্যাব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিশ্চিত হন যে, আবুল বাশার ভুয়া র্যাবের সদস্য।
তারা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক আবুল হোসেন সিকদার বাদী হয়ে ওই দিনই মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে একই বছরের ৩১ জুলাই থানার এসআই হুমায়ুন কবির আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আদালত সাক্ষগ্রহণ শেষে পৃথক তিনটি ধারায় আবুল বাশারকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এমএস/এএসআর