সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকেন্দের হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আমিন হুদার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।
গত বছরের ১৩ অক্টোবর বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ তার জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে আমিন হুদার জামিন বাতিল করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর গুলশান-১, ১২৩ নম্বর বাড়ি থেকে আমিন হুদা ও তার সহযোগী আহসানুল হক ওরফে হাসানকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল, ৪৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে ১৩৮ বোতল মদ, এক লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা এবং ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরির উপাদান জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা দুটি মামলায় ২০১২ সালের ১৫ জুলাই আমিন হুদা ও আহসানুল হককে মোট ৭৯ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আমিন হুদা একই বছরের ২৯ জুলাই হাইকোর্টে আপিল করেন। হাইকোর্ট ৩১ জুলাই আপিল গ্রহণ করে নথি তলব ও জারিমানার আদেশ স্থগিত করেন।
এদিকে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আমিন হুদা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি শেষে ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আমিন হুদার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। এ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে একই বছরের ১০ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে ৫ মে তার জামিন বাতিল করেন আপিল বিভাগ।
পরে তিনি হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৭
ইএস/জিপি/বিএস