মামলাটির চার আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা অন্য দু’জন হলেন-ইসহাক আলী ও শহীদ মণ্ডল। আসামি নজরুল ইসলাম এখনও পলাতক।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার (৩০ এপ্রিল) চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তিন আসামিকে আগামী ০৮ ও ০৯ মে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
আগামী ১২ জুলাই এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউর তাপস কান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
পরে তাপস কান্তি বল বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির আবেদনে তিনজনের নামের আগে ‘রাজাকার’ শব্দ লেখা থাকায় ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, কোনো ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত ‘রাজাকার’ বলা সমীচীন হবে না।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর নওগাঁ জেলার ওই চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এ মামলার আসামি জামায়াতের জয়পুরহাট জেলার সাবেক আমির রেজাউল করিম মন্টুকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি জয়পুরহাট থেকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। একই দিন ইসহাক আলী ও শহীদ মণ্ডলকে নওগাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদেরকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পলাতক অন্য আসামি নজরুলের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
এসব আসামির মামলাটির তদন্ত করছেন হেলাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৭
ইএস/এএসআর