এছাড়া, ২০০০ এর ৭ ধারার অপরাধে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় আসামিদের।
বৃহস্পতিবার (০৪ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাছিনা রৌশন জাহান ওই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা উত্তরপাড়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মানিক মিয়া ওরফে মইজা (৪৫) ও একই গ্রামের গেদা মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৪৭)।
অন্য আসামি আব্দুল খালেককে বেকসুর খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল এবং মামলা চলাকালে ২০০৬ সালে ০৬ মার্চ আসামি কালু মিয়া মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল বাংলানিউজকে জানান, ২০০৩ সালের ৬ মে রাতে ১৫ বছরের এক কিশোরী তার মা ও বোনকে (পোশাক কারখানার শ্রমিক) আনতে গেলে সিঙ্গাইর উপজেলা বাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেন আসামি মানিক মিয়া ওরফে মইজা ও আবুল হোসেন।
পরদিন ০৭ মে চারজনকে আসামি করে ওই কিশোরীর মা সিঙ্গাইর থানায় মামলাটি করেন।
পুলিশ ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। মামলা চলাকালে আসামিরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। আদালতে মোট ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৭
ওএইচ/এএসআর