মামলার শুনানিতে ৪০ বছরের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ৩৫ বছরের কথা বলেছিলেন।
আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় দুই বছরের সনদ নিয়ে জটিলতা বিষয়ক এক রিট আবেদনের দেওয়া রায়ে গত বছরের ২৫ জুলাই এলএলবি কোর্স সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।
ওই রায়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেন। রায়ের পরদিন ২৬ জুলাই দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় আপিল করে। শুনানি শেষে গত ০৮ ফেব্রুয়ারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। এ মামলায় অন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন করে, সেসব আবেদনেরও নিষ্পত্তি করা হয়।
ওই দিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, ‘আমি ৩৫ বছরের সীমার কথা বলেছিলাম। কিন্তু আদালত বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে আসাদের বিষয় বিবেচনা করে ৪০ বছরের কথা বলেছেন’।
সম্প্রতি প্রকাশিত ১১১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে ভবিষ্যতে আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে বার কাউন্সিলসহ সংশ্লিস্টদের করণীয় বিষয়ে ১২ দফা অভিমত দেন আপিল বিভাগ।
রায়ে কোনো বয়সসীমার কথা উল্লেখ না করে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আইনজীবী হিসেবে সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বার কাউন্সিল বয়সসীমা নির্ধারণ করতে পারবে।
এ রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তার কার্যালয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আদালতে শুনানিকালে এ বয়সসীমা ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তা দিলেন না। রায়ে বলা হয়েছে, বার কাউন্সিল এটি নির্ধারণ করবে। কিন্তু বার কাউন্সিলের আইন করার ক্ষমতা নেই। আইন করার ক্ষমতা কেবল সরকারের। এখন বিষয়টি বার কাউন্সিলের পর্ষদ ভেবে দেখবেন’।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘আইন পেশায় অন্তর্ভুক্তির বয়সসীমা নির্ধারণের বিষয়টি বার কাউন্সিলের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এটিকে সমীচীন মনে করি না। কারণ, এটি একটি স্বাধীন পেশা। যেকোনো সময় যে কারো এ পেশায় আসার অধিকার আছে। তবে আইন বিষয়ে পড়ালেখার বয়স নির্ধারণ করা যেতে পারে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর