প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (০৮ মে) এ আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
এ মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা রিট ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাইকোর্ট বেঞ্চ খারিজ করে দেন। গত বছরের ২৫ মে এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়া।
সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।
পরে এ মামলার বৈধতা প্রশ্নে রিট করে করেন খালেদা জিয়া। ওই সময় হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের রায়ের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ হওয়ায় এ মামলার স্থগিতাদেশ উঠে গেছে।
বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর