পুন:শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৫ মে) এ রায় দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
মুন্সীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, তার স্ত্রী মাজেদা আহসান, ছেলে রিজওয়ানুল আহসান ও রিজভিউল আহসানেরবিরুদ্ধে ৬ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৪৭৯ টাকার সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জনে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।
২০০৭ সালে ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে বিশেষ জজ আদালত ১৩ বছরের কারাদণ্ড, ৬৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেন। তবে স্ত্রী-সন্তানদের খালাস দেন বিচারিক আদালত।
পরে হাইকোর্টে আপিলের পর খালাস পান মুন্সী। দুদক এ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় শুনানির আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে মুন্সীর করা রিভিউ আবেদন গত বছরের ১৩ এপ্রিল খারিজ হয়ে যায়।
ফলে হাইকোর্টে পুনরায় এ মামলার পুন:শুনানি হয়।
খুরশীদ আলম খান জানান, সেনা নিয়ন্ত্রিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা মামলায় এ রকম প্রায় ২৭ জনকে বিচারিক আদালত দণ্ড দেন। আপিলের পরে খালাস দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিলের পর আপিল বিভাগ এসব মামলায় হাইকোর্টে পুন:শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুসারে মঞ্জরুল আহসান মুন্সীর মামলা হাইকোর্টে শুনানি হয়।
শুনানি শেষে মঙ্গলবার তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, খালাস দিলেও এখানে অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) হয়ে থাকতে পারে বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে আপিল করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর