রোববার (২১ মে) এ বিষয়ে করা ৫টি আপিল মামলার এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
রায়ে সর্বোচ্চ আদালত ১৪০ জন চিকিৎসকের চাকরিবিহীন সময়কালকে বিনা বেতনে ছুটি হিসেবে গণ্য করার আদেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ মে) আপিলের শুনানি শেষ হয়। আদালতে চিকিৎসকদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, আমীর-উল ইসলাম, কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন। বিএসএমএমইউ’র পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম।
ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন পরে বলেন, চিকিৎসকরা এখন কাজে যোগ দিতে পারবেন।
২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে গত বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েকশ’ চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পরে আইন লঙ্ঘন করে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তমান সভাপতি ইকবাল আর্সলান।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৬ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারির পাশাপাশি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগের প্রক্রিয়ার কার্যক্রম স্থগিত করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট চিকিৎসকদের নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রায় দেন।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল (লিভ টু আপিল) করেন চিকিৎসক খায়রুন নাহারসহ অন্যরা। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টে রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
চিকিৎসকরা রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন জানালে ০৪ সেপ্টেম্বর তাদেরকে আপিল করার অনুমতি দেন সর্বোচ্চ আদালত। পরে ১৩৮ জন চিকিৎসক ৫টি আপিল করেন। শুনানি শেষে আরও দু’জন চিকিৎসক আবেদন করায় তাদের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৬
ইএস/এসএইচ/এএসআর