বুধবার (২৪ মে) বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম।
গত ১৫ মে মিরুর জামিনের আবেদন নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুলের দু’দিনের শুনানি শেষে বুধবার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনে জামিনের আবেদনটি দৈনন্দিন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে মেয়র মিরুকে আপাতত কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
গত ০২ ফেব্রুয়ারি মেয়রের দুই ভাই মিন্টু ও পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের গণ্ডগোল বাধে। এরপর বিজয়কে তুলে নিয়ে মেয়রের বাড়িতে আটকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এ নিয়ে নিজ দলের একটি পক্ষের সঙ্গে মিরু, মিন্টু, পিন্টু, নাছিরসহ মেয়রের সহযোগীদের সংঘর্ষ বাধে। ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন, খবর সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গিয়ে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন বগুড়া থেকে ঢাকায় আনার পথে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বাদী হয়ে মেয়র মিরু ও তার সহোদর মিন্টু এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নাছিরসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর গত ০২ মে শিমুল হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর