ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপিলেও জনতা ব্যাংকের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
আপিলেও জনতা ব্যাংকের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা বহাল

ঢাকা: প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার‌্যক্রমে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন।
 
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি।

সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরীক্ষা কমিটির পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
 
সোমবার (১০ জুলাই) জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে পরীক্ষা কমিটির পক্ষে আবেদন করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন। আপিল বিভাগ রোববার (০৯ জুলাই) তাদের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে জনতা ব্যাংকের ফলাফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার্যকমে হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল রইলো।
 
গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেন। তবে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্যি নয়’।
 
গত বছরের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি।   পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। গত ২৪ মার্চ সকাল ও বিকালে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন। পরে ২১ এপ্রিল নয় হাজার ৪০০ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

এ পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অতল করসহ ১৫ জন পরীক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও নিয়োগ কার্যক্রমে তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট।
 
অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে ও পরীক্ষার ফলাফল বাতিলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চান। অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং জনতা ব্যাংকের এমডিকে রুলের জবাব দিতে বলেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন পরীক্ষা কমিটি। গত ২৯ মে আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত। ফলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
 
পরে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন পরীক্ষা কমিটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।