রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ স্মরণসভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
সভায় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রয়াত বিচারপতি আনোয়ারুল হকের মধ্যে সততা, প্রজ্ঞা, নিষ্ঠা ও সাহস সবই ছিল।
অল্প সময় ব্যবধানে সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত অবস্থায় তিনজন জজ (মোহাম্মদ বজলুর রহমান, আনোয়ারুল হক ও জে এন দেব চৌধুরী) মারা যাওয়ায় বিচার বিভাগের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
স্মরণসভার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওছারের সভাপতিত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন, বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ আলী আহমেদ খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ক্যান্সার আক্রান্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক চলতি বছরের শুরুতে এক সপ্তাহ রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে গত ২১ জানুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত ৫ জুলাই দেশে আনা হয়। ওই দিনই ফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে ১৩ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
বিচারপতি আনোয়ারুল হক ১৯৫৬ সালের ১ আগস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৮১ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। ১৯৯৭ সালে তিনি জেলা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। পরে ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। ২০১২ সালে তিনি স্থায়ী নিয়োগ পান।
২০১২ সালের ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। ট্রাইব্যুনাল-২ নিষ্ক্রিয় করার পর ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি আনোয়ারুল হককে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ