জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের দুই নম্বর কোর্ট এ আদেশ দেন।
বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে দুদক।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। বিচারপতি জয়নুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
২০১০ সালের ১৮ জুলাই সম্পদের হিসাব চেয়ে বিচারপতি জয়নুলকে নোটিশ দেয় দুদক। এ নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ২৫ জুলাই হাইকোর্টে রিট আবেদনও করেছিলেন তিনি। তবে রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে যায়।
২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে আরও একটি নোটিশ দেয় দুদক। ০৩ নভেম্বর তিনি এ বিষয়ে তথ্য জমা দেন। দীর্ঘদিন পরে গত জানুয়ারি মাসে তার কাছে ব্যাখ্যা চায় দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক হাফিজুরের রহমানের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাও দেন বিচারপতি জয়নুল। এরপর গত জুন মাসে একটি পত্রিকায় ওই বিচারপতির বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে গ্রেফতার ও হয়রানির আশঙ্কা থেকে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি।
গত ১০ জুলাই এ অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি জয়নুলকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
খুরশীদ আলম খান জানান, হাইকোর্ট তাকে অভিযোগের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক। রোববার (২৩ জুলাই) আবেদনটি আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টে শুনানির জন্য ছিলো। আবেদনটি দুই নম্বর কোর্টে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর