ওই শিক্ষকের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৪ জুলাই) হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ রুল জারি করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান।
পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় রেগুলেশন অনুসারে কেবল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্টাফকে তিন মাসের জন্য বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তবে যাকে ছুটিতে পাঠানে হবে তিনি চাইলে চ্যান্সেলরের কাছে আপিল করতে পারেন। কিন্তু কাউকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নেই।
অথচ গত ১২ জুলাই সিন্ডিকেট ড. রুশদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায়। পরের দিন একটি চিঠির মাধ্যমে রেজিস্ট্রার এ বিষয়টি তাকে অবহিত করেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘১২ জুলাই থেকে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপনাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হইল। বাধ্যতামূলক ছুটিকালীন সময়ে আপনাকে বিভাগীয় সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ’
পরে ১৬ জুলাই ড. ফরিদী কোন কর্তৃত্ব বলে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে তা জানতে চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ২০ জুলাই রিট করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ