ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৪ জুলাই) রুলসহ এ স্থগিতাদেশ দেন।
১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ২০ (১) ধারা অনুসারে সিনেট গঠনে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
রুলে ১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশের ২০ (১) ধারা অনুসারে সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাই ডাকা বিশেষ সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবু আহসান মোহাম্মদ সামসুল (আ আ ম স) আরেফিন সিদ্দিক, প্রো-ভিসি (একাডেমিক), প্রো-ভিসি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সরকারের পক্ষে শিক্ষা সচিব।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. হারুনুর রশিদ খান, অধ্যাপক ড. সিতেশ চন্দ্র বাচার, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল আলম খান, সহযোগী অধ্যাপক মো. হুমায়ন কবির, সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুর রহিম, বরিশালের আনোয়ার হোসেন, ঢাকার এ কে এম আতিকুর রহমান ও ফরিদপুরের ড. আব্দুল জব্বার মিয়া।
গত ১৬ জুলাই ঢাবির রেজিস্ট্রার সিনেটের বিশেষ সভার চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ২১ (২) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকাল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহবান করেছেন। বিশেষ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এর ১১(১) ধারা অনুসারে চ্যান্সেলর কর্তৃক ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য তিনজনের একটি প্যানেল মনোনয়ন করা হবে। ভাইস চ্যান্সেলরের প্যানেলে যাদের নাম অন্তর্ভূক্তির জন্য প্রস্তাব করা হবে, নাম প্রস্তাবকালে তাদের লিখিত সম্মতি সিনেট চেয়ারম্যানের কাছে পেশ করতে হবে। সভায় উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি’।
আমাতুল করিম জানান, ১৫ জন আবেদনকারীর দাবি, অনেক রেজিস্ট্রার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধির পদ শূন্য। তাই এ নির্বাচন না দিয়ে সিনেট সভা ডেকে উপাচার্য প্যানেল মনোনয়ন ঠিক নয়। এ কারণে ১৬ জুলাইয়ের এ চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট রিট করেছেন তারা।
প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। অর্থাৎ ২৯ জুলাইয়ের ডাকা সিনেট কমিটির বিশেষ সভা স্থগিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর