সোমবার (২৪ জুলাই) শুনানি শেষে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিইআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম।
এ দাম বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কনজুমার কমপ্লেইন হ্যান্ডলিং ন্যাশনাল কমিটির আহ্বায়ক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ০১ জুন থেকে দ্বিতীয় দফা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ছয়মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
পরে বিইআরসি’র আপিলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে রুল শুনানির নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষ হয়েছে।
বিইআরসি’র ঘোষণা অনুসারে, গত মার্চ থেকে প্রতি চুলা গ্যাসের দাম বেড়ে হয় ৭৫০ টাকা, যা জুনে বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ টাকায়। আর মার্চ থেকে দুই চুলা গ্যাসের দাম হয় ৮০০ টাকা, যা জুনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫০ টাকায়। অন্যদিকে মার্চ থেকে প্রতি ঘনমিটার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয় ৩৮ টাকা, যা জুনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকায়। মার্চ থেকে গ্যাসের বাণিজ্যিক ইউনিটপ্রতি খরচ বেড়ে হয় ১৪.২০ টাকা, জুন থেকে এ ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.৪০ টাকায়।
হাইকোর্টে সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন,২০০৩’ এর ৩৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কমিশন নির্ধারিত ট্যারিফ কোনো অর্থবছরে একবারের বেশি পরিবর্তন করা যাবে না, যদি না জ্বালানি মূল্যসহ অন্য কোনো পরিবর্তন ঘটে’৷ কিন্তু সরকার ২৩ ফেব্রুয়ারি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ০১ মার্চ ও ০২ জুন থেকে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
ইএস/এএসআর