তবে হাইকোর্টের মঙ্গলবারের (২২ আগস্ট) রায়ে খুশি হতে পারেননি মামলার নিম্ন আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
সাত খুনের দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম একসঙ্গে শেষ করে গত ১৬ জানুয়ারি নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
সেদিন সাখাওয়াত হোসেন সন্তোষ প্রকাশ করলেও হাইকোর্টের রায়ের পর তিনি বলেন, ‘আমি আরো খুশি হতাম, যদি নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকতো। শুধু আমি নই, পুরো নারায়ণগঞ্জবাসী ও দেশবাসীও খুশি হতেন। তবে আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করবো, উচ্চ আদালতের রায় দ্রুত কার্যকর হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কিন্তু র্যাব বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমরা র্যাবের কিছু বিপথগামী সদস্যের বিরুদ্ধে। র্যাবের বিপথগামী সদস্যরাই সাত খুনের মতো ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তা রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো। তারেক সাঈদ আরিফের মতো যেন কেউ জন্ম না নেন, সে আশা থাকবে আমাদের’।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম।
সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
এএসআর