আবেদনে বাংলাদেশ সরকার, আইন মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন বেঞ্চে এ রিট শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
তানজিম আল ইসলাম বলেন, ১৯৫১ সালের শরণার্থী বিষয়ক কনভেশন এবং ১৯৬৭ সালের প্রটোকলে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেনি। নেই কোনো নীতিমালা কিংবা আইন। অথচ লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রয়েছে এবং প্রবেশ করছে। এখন কিভাবে এদের রক্ষা করা হবে। এদের থাকার আইনগতভিত্তি কী।
সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ, আইনানুযায়ী যে কোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। বিশেষত আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।
কিন্তু সাময়িক বসবাসরত এসব শরণার্থীদের বিষয়ে আইন নেই। এছাড়া জন্মসূত্রে নাগরিক হওয়ার সুযোগ থাকে। তাহলে ২০ লাখ রোহিঙ্গা থেকে ১০ লাখ শিশু জন্ম নিলে তারা আমাদের দেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। আমেরিকায়ও শরণার্থী বিষয়ক আইন রয়েছে। অথচ আমাদের নেই। তাই আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তানজিম আল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
ইএস/এসএইচ