এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের অনুলিপি বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মো. ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
দেশের বিভিন্ন স্থানের ১০ জন সিএইচসিপি’র করা রিটের শুনানি শেষে গত ২২ মার্চ রায় দেন বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, এ রায়ে সারাদেশে কর্মরত সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপি’র চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের পথ সুগম হলো।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করে। এর আওতায় সারাদেশে ১০ হাজার ক্লিনিক স্থাপিত হয়। ২০০৯ সালে ‘রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি)’ নামে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় আগের ১০ হাজার ক্লিনিকের সংস্কার ও নতুন আরো সাড়ে তিন হাজার ক্লিনিক স্থাপিত হয়।
২০১১ সালে এসব ক্লিনিকের প্রত্যেকটিতে একজন করে ৫ বছরের জন্য সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এর মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু এরই মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সুপারিশ করে তা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়।
গত বছর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাড়ে ১৩ হাজার সিএইচসিপিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘চতুর্থ স্বাস্থ্য জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি (এইচপিএনএসপি)’ প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়। তাদেরকে আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এ প্রকল্পে স্থানান্তর করে গত ১৫ মে চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু তাদের নতুন প্রকল্পে স্থানান্তরের আগেই রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়শনের আহ্বায়ক মো. সহিদুল ইসলামসহ ১০ জনের করা রিট আবেদনটির প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চের রায়ে রিট আবেদনকারীদের (১০ জন) চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
ইএস/এএসআর