সোমবার (০৯ অক্টোবর) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।
তিনি বলেন, চার বছরের শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষকে ১০ লাখ টাকা (মোট ২০ লাখ টাকা) ৯০ দিনের মধ্যে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
আব্দুল হালিম আরও বলেন, ৪৭ পৃষ্ঠার রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন- হাইকোর্টের এই রায়ের পরও অন্য আইনে রেলওয়ে বা ফায়ার সার্ভিসের দায় থাকলে তারা ওই দায় থেকে মুক্তি পাবে না।
২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাসার কাছে শাজাহানপুর রেলওয়ে মাঠের পাম্পের পাইপে পড়ে যায় জিহাদ। প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর ২৭ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে জিহাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর ২৮ ডিসেম্বর জিহাদের পরিবারের জন্য ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে ‘চিল্ড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
পরে ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিশু জিহাদের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হয়। যা এখন প্রকাশিত হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
ইএস/জেডএস