দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ তাদেরকে এক বছরের জামিন দেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ আগস্ট অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত ছয় সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের জামিনের আদেশ স্থগিত করেন। একইসঙ্গে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খন্দকার দিলীরুজ্জামান। আসামিপক্ষে ছিলেন মঞ্জুরুল হক চৌধুরী ও ফজলে নূর তাপস।
প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের দায়ে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত গত ০২ ফেব্রুয়ারি রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় ৬ বছর, ৪৬৮ ধারায় ৬ বছর, ৪৭১ ধারায় ১ বছর এবং ৪২০ ধারায় ১ বছর অর্থাৎ মোট ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড পান তারা। সকল সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ থাকায় কার্যত তাদের প্রত্যেকের ৬ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে। রায়ের দিন থেকে তারা কারাবন্দি।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন আসামিরা। এ আপিলে তারা জামিন চাইলে গত ২৪ মে সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ আদালতে তা নামঞ্জুর হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
ইএস/এএসআর