প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
সংশ্লিষ্ট কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বলেন, আজকে দুটি প্রতিবেদন এবং গত সপ্তাহে আজিমপুর মাতৃসদনের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছিলো।
রাস্তায় সন্তান প্রসবের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে এলে স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৯ অক্টোবর ঘটনা তদন্ত করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রুলও জারি করেছিলেন।
হাসপাতালে যাওয়ার পরও ওই নারীকে তার প্রাপ্য চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং দায়ী ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ওই নারীকে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছিলো।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তঃসত্ত্বা পারভীন আক্তার গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের পাশেই থাকতেন। গর্ভে সন্তান রেখে স্বামী তাকে ছেড়ে গেছে অনেক আগেই। প্রসব বেদনা নিয়ে তিনটি সরকারি হাসপাতালে যান তিনি। কিন্তু কোনোটিতেই স্বাস্থ্যসেবা পাননি তিনি। পরে রাস্তার ওপরই তার সন্তান প্রসব হয়। তবে জন্মের পরপরই শিশুসন্তানটি মারা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
ইএস/জেডএম