ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়লো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়লো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ফাইল ছবি

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার খালেদার যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে ৭ আগস্ট নতুন করে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। একইসঙ্গে খালেদার জামিনও বাড়ানো হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা ছিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া আসতে না চাওয়ায় তাকে আনা সম্ভব হয়নি।

শুনানি শেষে পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য নতুন করে ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন এবং জামিন বর্ধিত করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) খালেদা জিয়াকে আদালতে আনা হবে এমন খবরে আদালতের চারদিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন, ক্যামেরা নিয়ে আদালতের ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আর যারা প্রবেশ করছেন তাদের তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কর্তৃপক্ষের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তাকে (খালেদা জিয়া) আদালতে আনা হবে। মামলায় খালেদা জিয়ার জমিন বৃদ্ধির জন্য আমরা আবেদন করেছি।

মঙ্গলবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিলো। তার আগে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ২৪ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করেন আদালত।  

ওইদিন খালেদা জিয়ার আদালতে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে উপস্থিত করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এদিন খালেদার জামিনের মেয়ার বৃদ্ধির আবেদন করেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।

শুনানি শেষে ঢাকার বকশি বাজারে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ৩১ জুলাই পর্যন্ত খালেদার জামিন বর্ধিত করেন।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুদক।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
এমআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।