বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এ রায় দেন।
জাকিয়া ওই এলাকার শহীদ বেপারীর স্ত্রী।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাকিয়া কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তাকে খুঁজে না পেয়ে ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি জাকিয়ার ছোট বোন পাপিয়া বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর জাকিয়ার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে পরে জাকিয়ার মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হয়। পরে পাপিয়া নবীনগর থানায় গিয়ে জামা-কাপড় দেখে মরদেহটি তার বোন জাকিয়ার ছিল বলে শনাক্ত করেন। নবীনগর থানা পুলিশ তাকে জানায়, জাকিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ বিলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পাপিয়া অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ মো. খায়ের মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া ২০১৬ সালের ৫ জুন তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
মামলায় আমান উল্যাহ সহকারী হিসেবে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটির (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসআই