বুধবার (৩০ জানুয়ারি) চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
যুগ্মসচিব রফিকুল মোহামেদকে ৫ বছর কারাদণ্ডসহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী অফিস সহকারী (অব.) মোড়ল কফিল উদ্দিন ও আব্দুল জলিল খন্দকার (অবসর) এই দুই আসামিকে ৩ বছর কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও তিনমাস বেশি কারাভোগ করতে হবে।
তিন আসামিদের উপস্থিতে এ রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
সরকারি সম্পত্তি গ্রাস ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগে ২০০৩ সালের ৩০ জুন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর সহকারী পরিদর্শক রইসউদ্দিন আহম্মেদ রমনা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৫ সালের ৮ মার্চ আসামি আবুল হাসেম মোল্লা একটি মামলার রেফারেন্স দিয়ে এ সংক্রান্ত ওয়ার্ড সার্টিফিকেট তৈরি করেন। মিরপুরের পুনর্বাসনের একটি প্লট পেয়েছেন মর্মে একটি ভুয়া ও জাল বরাদ্দপত্র তৈরি করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি আবেদন করেন।
আবেদনপত্রে দাবি করা জাল বরাদ্দপত্রে তার নাম ও বাবার নাম ভুল থাকায় সংশোধিত বরাদ্দপত্র জারির আবেদন করেন। ১৯৯৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের আবেদনে প্লট নম্বর রোড নং এর সঙ্গে জাল বরাদ্দপত্রে উল্লেখিত প্লট নম্বরের সঙ্গে কোনোটিরই মিল ছিল না।
মিল না থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১৫ বছর পর উল্লেখিত বিষয়গুলো উপস্থাপন করে এবং পুরাতন নথির বিষয়ে কোনো তথ্য উপস্থাপন না করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কোনো কারণ উল্লেখ না করে নতুন ফাইল খুলে প্লটটি বরাদ্দপত্র জারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হন।
দুদকের সহকারী পরিদর্শক রেভা হালদার ২০০৯ সালের ১৫ মার্চ মামলাটির তদন্তের সময় চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার বিচারকাজ চলার সময় আদালত চার্জশিটভুক্ত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য শেষে আদালত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব রফিকুল মোহামেদসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএআর/জেডএস