ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকার দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
ঢাকার দুই সিটির প্রধান নির্বাহীকে হাইকোর্টে তলব ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লোগো

ঢাকা: রাজধানীতে বায়ুদূষণ নিয়ে উচ্চ আদালতের আদেশের বিষয়ে দেওয়া প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীদের তলব করেছেন হাইকোর্ট।  

রোববার (০৫ মে) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আগামী ১৫ মে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুন্নাহার আক্তার (নুপূর)।

পরে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং তাদের দপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী প্রত্যেকটি বড় শহরে, বিভাগীয় শহরে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকার বিধান রয়েছে। এই মামলা পরিচালনার সময় আমরা দেখেছি, এখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য আদালতের একটি আদেশ রয়েছে, সেসময় দেখা গেছে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরগুলোতে পদ আছে কিন্তু কর্মরত ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া যায় না। এজন্য আমাকে বলা হয়েছে, যেন আমরা পরিবেশ সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে বিধিবিধান অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের উপর ডিরেকশন ছিলো দিনে ওনারা দুইবার করে পানি ছিটাবেন, যেন ধুলাটা যেকোনো জায়গায় সংক্রমিত হতে না পারে। কিন্তু ওনাদের যে কাগজপত্র দাখিল করেছেন সেখানে ওনাদের যে রুটিন ওয়ার্ক আছে, আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেন নাই যে রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী কাজগুলো সম্পাদন হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কার্য সম্পাদনের কাগজপত্র দাখিলে ওনারা ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে ১৫ মে সশীররে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ের প্রতিবেদন যথাযথভাবে আসছে না। এ কারণে আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন।

ওইদিন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানিয়েছিলেন, রুলে ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।

মনজিল মোরসেদ আরও জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তায় এবং নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

১৫ দিনের মধ্যে আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ পালন করে এর দুই সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিপ্তররের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।  

এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালি প্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুইবার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।  

যাদের কারণে বায়ুদূষণের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ আদালতের মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। এ আদেশ পালন করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মনজিল মোরসেদ।  

এ আদেশ অনুসারে বিবাদীরা হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯/আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।