ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

খালেদার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
খালেদার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচারে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তর করে সরকারের জারি করা প্রজ্ঞাপনের বৈধতার রিটের শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এ জে মোহাম্মদ আলী।

তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

শুনানিতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, কেরানীগঞ্জ ঢাকা মহানগরের মধ্যে নয়। এছাড়া আইন অনুসারে পাবলিক ট্রায়ালের বিষয় আছে। এ সময় আদালত বলেন, মামলার চার্জশিট দেওয়া উচিত ছিলো। দিলে তাহলে আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে। এছাড়া ওই আদালতের বিচারকের অধিক্ষেত্রের গেজেটটা দেবেন।  

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ফারুক রহমানের মামলার বিচার জেলখানায় হয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মামলা চলেছিলো। ওনারাই সেটা করেছেন। বিডিআর মামলার অনেক আসামি। সেটার বিচার আলিয়া মাদ্রাসার পাশে কারা অধিদপ্তরের মাঠে হয়েছিলো। এ মামলাটাও ওখানে হতো। কিন্তু সেখানে কিছু সমস্যা হয়েছিলো। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। একটা মামলাও হয়েছে। পরে মামলাটি পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে জেলখানা ট্রান্সপার হয়েছে। এখন ওই কোর্টটা জেলখানার ভেতরে নয় সম্মুখে। আমাদের কাছে ল্যাপটপে রেকর্ড  আছে। চাইলে দেখতে পারেন।

এ সময় আদালত রেকর্ডের সিডি জমা দিতে বলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, এখানে মেট্রোসেশনের কোনো বিষয় না। বিশেষ জজ আদালতের মামলা। সুতরাং এখানে মেট্রোসেশনের কোনো রিলেভেন্স নেই।   
 
এরপর এ জে মোহাম্মদ আলীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি ১০ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেন।

রোববার (২৬ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
 
রিটে নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচারে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ জজ আদালত-৯ কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই নং ভবনে স্থানান্তরে জারি করা গত ১২ মের গেজেট কেন অবৈধ এবং বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আবেদন জানানো হয়েছে। এ রুল জারির আবেদনের পাশাপাশি ওই গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। ।
 
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
 
এর আগে ২১ মে ওই গেজেট বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী।
 
ওইদিন খালেদার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
‘সেই প্রজ্ঞাপন খালেদা জিয়া ও আমরা তার আইনজীবী হিসেবে বেআইনি বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে, যেকোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। পাশাপাশি ফৌজদারি কার্যবিধিতে (সিআরপিসি) স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে যে, কোথায় কোথায় আদালত স্থানান্তরিত হতে পারে। ওই সিআরপিসির ৯(২) উল্লেখ নাই কারাগারে কোর্ট স্থাপিত হতে পারে। সেজন্য সরকারকে ২৪ঘণ্টার সময় দিয়েছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গেজেট উইথড্র না করলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। ’
 
এ নোটিশের জবাবে না পেয়ে রিট করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।