বুধবার (১৭ জুলাই) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান আবেদনটি শুনানির জন্য ১৩ অক্টোবর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ২০ জুন দুই মাসের মধ্যে রাজীবের পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও স্বজন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে স্বজন পরিবহন।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় দু’বাসের রেষারেষিতে হাতকাটা পড়ে কলেজছাত্র রাজীবের। এ ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ৪ এপ্রিল রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
হাইকোর্ট ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুল জারিসহ রাজীবের চিকিৎসার খরচ দুই বাস মালিক বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনকে বহনের নির্দেশ দেন।
এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ১৬ এপ্রিল দিনগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রাজীবের।
এদিকে বাস মালিকদের আপিলের পর গত বছরের ২২ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ ওই ঘটনায় দুই বাস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কারা দায়ী ও ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করতে একটি ‘স্বাধীন কমিটি’ গঠনে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন। পরে ওই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে হাইকোর্ট রাজীবের দুই ভাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেন।
পাশাপাশি রাজীবের দুই ভাইকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের মালিককে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্ট বিভাগ এ কমিটি গঠন করেন।
ওই বছরের ১৫ অক্টোবর দুই বাস কর্তৃপক্ষের মধ্যে কারা দায়ী ও ক্ষতিপূরণ নিরূপণ করতে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি প্রতিবেদনে গণপরিবহন নিয়ে কয়েকটি সুপারিশ দেয়।
কমিটির অপর সদস্য হিসেবে রয়েছেন বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজন শিক্ষক ও নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন।
এরপর হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষে ২০ জুন রায় ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ইএস/জেডএস