বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৭ জুন চার্জশিট গ্রহণের শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল বিইউপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ছাত্র আবরারকে বাসচাপায় হত্যা মামলায় দুই জনের বিরুদ্ধে ও মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে বাসচাপায় গুরুতর আহত করার মামলায় চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মামলা দু’টিতে ৩২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
আবরার হত্যা মামলায় যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন- সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার ইয়াছিন ও বাসমালিক গোপাল সরকার। আর, মুক্তাকে আহত করার মামলায় যে চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে, তারা হলেন- বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, সুপারভাইজার ইয়াছিন, হেলপার মো. ইব্রাহিম হোসেন ও বাসমালিক গোপাল সরকার।
গত ১৯ মার্চ সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের চাপায় প্রগতি সরণির নদ্দায় প্রাণ হারান আবরার। সেদিন রাতেই আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী গুলশান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আবরারকে চাপা দেওয়ার সময় বাসটি চালাচ্ছিলেন সুপারভাইজার ইয়াছিন। এর কিছুক্ষণ আগেই বাসটির মূল চালক সিরাজুল ইসলাম প্রগতি সরণির শাহজাদপুরে মুক্তাকে চাপা দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটক হন। এ ঘটনায় গুলশান থানায় পৃথক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ মার্চ ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সিরাজুল। এরপর, গত ২ এপ্রিল সুপারভাইজার ইয়াছিন ও হেলপার মো. ইব্রাহিম হোসেনও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমএআর/একে