বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জেল হোসেন তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন, মুরাদ মিয়া (২২), মো. সোহেল রানা (৩০), মো. বিল্লাল (২৮), মো. আসাদুল ইসলাম (২২) ও মো. রাজু (২৩)।
রিমান্ড শুনানিকালে আসামি মুরাদ ও বিল্লালের পক্ষে আইনজীবী মো. ইউনুস আলী ও মৃনাল কান্তি মিত্র রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে জামিন চান।
অন্যদিকে বাদীপক্ষে আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম ও মাইদুল ইসলাম পলক আসামিরা জড়িত আছে মর্মে রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই এ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২২ জুলাই মো. শাহীন, মো. বাচ্চু মিয়া ও মো. বাপ্পি চারদিনের এবং গত ২৩ জুলাই মো. কামাল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অপর আসামি জাফর হোসেন আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনে বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে সন্তান ভর্তির খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে তাসলিমা বেগম রেনু ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ৪শ থেকে ৫শ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
নিহত রেনুর ১১ বছরের ছেলে তাহসিন আল মাহির ও চার বছরের মেয়ে তাসনিম তুবা। ঘটনার দিন তুবাকে ভর্তির খোঁজ-খবর নিতেই বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন রেনু।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
এমএআর/এএ