এদিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাত জনের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ সাত জন হচ্ছেন- মোশারফ হোসেন, গোলাম মাওলা, ফেনীর ডেপুটি জেলার মনির হোসেন, কারারক্ষী মো. শাহনেওয়াজ, কারারক্ষী মো. রিপন, কারারক্ষী ছবি রঞ্জন ত্রিপুরা ও জেল সুপার মো. রফিকুল কাদের।
এ মামলার ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৭ জুন থেকে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। তখন থেকে প্রতি কর্মদিবসে আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করছেন।
এর আগে, গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে, রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকার দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোটভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার, শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন, সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরি মো. ইউসুফ, সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন, অ্যাম্বুলেন্সচালক নুরুল করিম, সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, মাদ্রাসাছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী, মাদ্রাসাছাত্রী বিবি জাহেদা বেগম তামান্না, মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম, আয়া বেবী রাণী দাস, সহপাঠী আকলিমা আক্তার, কায়সার মাহমুদ, মাদ্রাসাছাত্রী ফাহমিদা আক্তার হামদুনা, নাসরিন সুলতানা, হল পরিদর্শক কবির আহম্মদ, তাহমিনা আক্তার, বিবি হাজেরা, আবু বকর সিদ্দিক, স্থানীয় বাসিন্দা মো. আকবর হোসেন, ফজলুল করিম, রাবেয়া আক্তার, মোয়াজ্জেম হোসেন, জাফর ইকবাল, প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহীম, রেজা মো. এনামুল হক, মো. নুর উদ্দিন, আকরাম হোসেন, এমদাদ হোসেন পিংকেল, মো. শাহজাহান, মো. আবুল কাশেম ও মো. সেলিনুর রেজার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।
গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/একে