ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রাসেলকে আরও ৫ লাখ টাকার চেক দিলো গ্রিনলাইন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
রাসেলকে আরও ৫ লাখ টাকার চেক দিলো গ্রিনলাইন

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে আরও পাঁচ লাখ টাকার চেক দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ চেক হস্তান্তর করা হয়।  

আদালতে গ্রিনলাইনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায় ও বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রাফিউল ইসলাম রাফি।

রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২৫ জুন এক আদেশে গ্রিনলাইনকে ক্ষতিপূরণের ৫০ লাখ টাকার মধ্যে বাকি ৪৫ লাখ টাকা মাসিক ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ওই অর্থ রাসেলকে দিয়ে ১৫ তারিখের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।

এর মধ্যে ১৫ জুলাই গ্রিনলাইনের আইনজীবী অজি উল্লাহ নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। পরে ২১ জুলাই নতুন আইনজীবী এক সপ্তাহের সময় আবেদন করেছিলেন। সে অনুসারে সোমবার ৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ অক্টোবর দিন রেখেছেন আদালত।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেনো দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। পরে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি রাসেলের অন্যপায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে সে খরচ এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার আদেশ দেন। ৩১ মার্চ এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়ে বিফল হয় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারকে পাঁচ লাখ টাকার চেক দেয় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে বাকি ৪৫ লাখ টাকা দিতে কর্তৃপক্ষকে এক মাস সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

রাসেলকে চিকিৎসার জন্য খরচ দিলেও ক্ষতিপূরণের অবশিষ্ট টাকা দেয়নি গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ। এরপর ১৫ মে হাইকোর্ট ওই টাকা দিতে ২২ মে পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু এই সময়েও তারা কোনো যোগাযোগ করেনি। এরপর আদালত এক মাস সময় দিয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ২৫ জুন রাখেন। পরে ২৫ জুন আদালত কিস্তিতে টাকা শোধের আদেশ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
ইএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।