বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ দায়রা জজ (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান আট আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার মৃত কামরুজ্জামানের ছেলে আমীর সোহেল মিয়া, শহরের পশ্চিম আলীপুরের কায়কোবাদ মোল্লার ছেলে রায়হান মোল্লা, মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মো. আজিজ বিশ্বাসের ছেলে আমীর হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলার শহিদ হোসেনের ছেলে মাসুম বিল্লাহ, মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মওলানা আব্দুর রউফ, ফরিদপুর শহরতলীর হাবেলী দয়ারামপুর গ্রামের নামিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আব্দুল গফফার, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের হারুন অর রশীদের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন, ফরিদপুর শহরতলীর অম্বিকাপুর গ্রামের গফফার ডাক্তারের ছেলে মর্তূজা (পলাতক) ও ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে খলিলুর রহমান।
এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মিজানুর রহমান মুকুল ওরফে মোয়াবিয়া, ইউসুফ আলী ওরফে আল্লামা ইউসুফ, ইয়াসিন সিকদার, তরিকুল ইসলাম ওরফে শুকুর এবং আরিফ খানকে বেকসুর খালাস দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা হয়। সেই সঙ্গে ফরিদপুরের আদালত প্রাঙ্গণসহ কয়েকটি স্থানেও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় সরকার পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা জানান, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
আরএ